আমেরিকার সমসাময়িক শীর্ষস্থানীয় কবিদের মধ্যে লুইস গ্লিক অন্যতম একজন ভাষ্য। তাঁর কবিতার ভেতর অলঙ্কারিত ধ্বনি তাঁকে আমেরিকার অন্যান্য কবিদের থেকে পৃথক ভাষা দিয়েছে। তাঁর সহজবোধ্য স্বর তাঁকে করে তুলেছে পাঠকপ্রিয়। তাঁর কবিতার মান নিয়ে সমালোচক ও পণ্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও, নোবেল প্রাপ্তির আগে থেকেই তাঁকে সমসাময়িক আমেরিকান কবিতার প্রধান ভাষা হিসেবে মনে করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমেরিকান কবিতার প্রায় সমস্ত পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে অনায়াসে মাথা উঁচু করে প্রবেশ করেছে।
কবির জন্ম ১৯৪৩ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে। ১৯৬৮ সালে এসে তিনি তাঁর প্রথম বই Firstborn প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে তিনি লিখেছেন সর্বমোট ১২টি কবিতার বই ও কিছু প্রবন্ধের বই।
নোবেল কমিটি তাঁর কবিতাকে প্রশংসা করে বলেছেন তাঁর কবিতা স্বচ্ছ ও আপসহীন। এই কবি নিজেকে খুব একা রাখতে পছন্দ করেন। কবিতার ওপর একটি পুরস্কার প্রাপ্তির পর একটি নিউজপেপারে তিনি বলেছিলেন, সামাজিক জীবনের ছাপ আমার মধ্যে তেমন একটা নেই।
বইটি হওয়ার কথা আগেই বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম। এই এখন এসে মনে পড়ছে গত বছরে লুইস গ্লিকের মোট সাতটি বই থেকে কবিতা নির্বাচিত করে সেগুলি অনুবাদ করার দিনগুলি। আমার মনে হয়েছে এইসমস্ত কবিতাগুলি পড়লে তাঁর কবিতার গতিবিধি সমন্ধে একটি সম্যক ধারণা করা সম্ভব।
যে সাতটি বই থেকে কিছু কিছু করে কবিতা নিয়ে বইটিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি সেই বইগুলি যথাক্রমে অ্যাভার্নো, আ ভিলেজ লাইফ, দ্য হাউস অভ মার্শল্যান্ড, দ্য ওয়াইল্ড আইরিস, মিডোল্যান্ড্স, আরারাত, দ্য ট্রায়াম্প অভ অ্যাকিলিস।
শীঘ্রই প্রকাশ পাবে। প্রকাশ পেলে কোথায় কীভাবে সংগ্রহ করবেন সে কথা জানাবো। এখন আপাতত প্রচ্ছদ নিয়ে এলাম।
লুইস গ্লিক ( ২০২০ সাহিত্যে নোবেলপ্রাপ্ত কবি)
ভাষান্তরঃ সুজিত মান্না
প্রকাশকঃ শব্দযান
প্রচ্ছদঃ প্রশান্ত সরকার
প্রকাশকালঃ ২০২০
ভারতের প্রথম কোনো ভাষায় অনুবাদ হওয়া লুইস গ্লিকের কবিতার বই।।
Louise Glück Book First Ever Translated in Bengal And India Also