সত্যিকথা বলতে বাংলা কবিতায় এখন মানে বর্তমান সময়ে একটা সূক্ষ বিপ্লব চলছে..। এটা কবি থেকে কবির মধ্যে আবার কবিতা থেকে কবিতার মধ্যে..।কেন জানিনা মনে হচ্ছে এর দুটো দিক বেশ স্পষ্ট ভাবে চিনতে পারছি..। ভালো দিক অবশ্যই কবির বিপ্লব কবিতার বিপ্লব সর্বোপরি সাহিত্যের বিপ্লব..।খারাপ দিক এই হলো যে এক কবি থেকে আর এক কবির একটা সূক্ষ দূরত্ব কাজ করছে সেটা শারীরিক কিংবা মানসিক।আমার মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খারাপ একটা দিক..।হ্যাঁ কিছু ভালো কাজ হলে সেখানে ভালো খারাপ দুটো দিকই থাকবে এটা চিরন্তন সত্য কথা।কিন্তু যেটা বলতে চাইছি সেটা যদি একটু সাহস নিয়ে খুলেই বলি বাংলা কবিতায় এখন আমি যতটুকু দেখছি বা যতটুকু অনুভব করতে পারছি সেখান থেকে বললে এমন দাঁড়াই যে - বাংলা কবিতাকে নিয়ে একটা কাদা ঘাঁটাঘাঁটি ব্যাপার শুরু হয়েছে ইদানিং । জানিনা এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই কিনা।কিছু মানুষ এমন দিনদিন হয়ে পড়ছে যে তারা ধীরে কিছু মানুষের মধ্যে হিংসার বীজটাকে এমন ভাবে ঢুকিয়ে যাচ্ছে যে নতুনরা এটাকে প্রথমে দেখে অবশ্যই ভাববে এটা নতুন একটা ট্রেন্ড।কিন্তু একটা কথা , আমি নতুন যতটুকু দেখছি সবটাই যদি অন্ধবিশ্বাসের মতো মেনে নিই সেটা আখেরে আমার নিজের ক্ষতি হবে..। আর এই ধরণের মানুষগুলো এই নতুনদেরকে নিয়ে নিজেদের স্বার্থটাকে গুছিয়ে চলেছে..।এখানে একটা কথা বলার আছে ওইসব মানুষগুলোর ডেডিক্যাশনটাকে সম্মান করি কিন্তু নতুনদের যখন এটা বলেন যে আমরা নতুন কিছু করতে চাই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হয়ে , তখনই মনে হয় সমস্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার মাপকাঠিটা ভেঙে যায়..। আসলে কবিতা লিখতে এসে প্রতিষ্ঠান বলে সত্যিই যদি কিছু হয় সেটা হলো এমন যে- বাংলা কবিতায় একটাই প্রতিষ্ঠান সেটা রবীন্দ্রনাথ..।আর আমরা সেই প্রতিষ্ঠানের এক একটা বাহক মাত্র..। আমাদের তাহলে কাজ কী? না আমাদের কাজ হলো তার লেখাকে আমাদের নিজেদের লেখার মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা।
তাই সেখান থেকে বলি যারা প্রতিষ্ঠান বিরোধী বিরোধী বলে রোজ রোজ চিৎকার করেন তাদের যথেষ্ট সম্মান দিয়েই বলি আমরা সবাই একটা গাছের তলায় লিখতে বসেছি আর সেখানে এভাবে কাদা ছুঁড়ে কোনো লাভ আছে কি? সত্যিই কি কোনো উপকার হচ্ছে এভাবে রেষারেষি করে?বুঝতে পারছি কোন অর্থে প্রতিষ্ঠান বলছেন।ওটা একটা ভ্রান্ত ধারণা..। ওটা থেকে বেরিয়ে এসে দেখুন পৃথিবীটা কত রঙিন..। আসলে সত্যি কথা বলতে একটা জিনিস বলুন তো কবিতা লেখার সময় কি এত বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা কেউই লিখতে বসি?তাহলে লেখার পর এত ভেদাভেদ কেন? আমরা যেটা চাই সেটা পাইনা বলে?নাকি আমাদের এরকম মনোভাব যে আমিই একমাত্র যে কবিতা লিখুক আর কেউ লিখুক না??
যাইহোক যেগুলো লিখলাম এগুলোকে কেউই সিরিয়াসলি নেবেন না।কারণ এবিষয়ে আবার আমার বেশি তর্ক করতে ভালো লাগে না।আগেও রেষারেষি হয়তো ছিল এখনো আছে আগামীতেও থাকবে..। আমি বললেও জানি কিছুই হবে না..। শুধু বার্তা এই যে আসুন সবাই মিলেমিশে ভাবি ব্যাপারগুলো..। গোষ্ঠী অবশ্যই করবেন কিন্তু চিন্তাভাবনাটা এমন রাখলে হয়না যে আমরা আমাদের মতো অন্যরা অন্যদের মতো ডেডিক্যাশন করছে করুক কিন্তু আমরা তাদের গালাগালি কিংবা বিরূপ প্রচার দেবো না..।
যাইহোক অন্তহীন আবার ফিরলো ৯ম সংখ্যা দিয়ে..। এর আগে ৮টি সংখ্যা বেরিয়েছিল..। অন্তহীন কী চায় কী চায়না একটু পত্রিকাটি দেখলেই বুঝতে পারবেন..। সবাই সাথে আছেন তাই আবার পথচলা শুরু করেছি..। এভাবেই পাশে থাকবেন আশা করি..।এখানে অন্তহীন একটা পরিবার একটা ট্রেন..। এই ট্রেনে আবার অনেক নতুন সদস্যকে আনতে পেরেছি..।অনেকে আছেন জীবনে অভিজ্ঞ এবং আমাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন আবার অনেকেই আছেন আমার বন্ধু সাহিত্য সেবক..।সবাইকে নিয়ে পথ চলা শুরু করলাম..। বাকিটা যারা পড়বেন আপনারাই বলবেন..।লেখা পড়বেন মতামত দেবেন মন খুলে।পারলে কারো লেখা ভালো লাগলে শেয়ার ও করবেন..।
আবার দেখা হবে কিছু কথা ও কিছু বক্তব্য নিয়ে পরের মাসে।এবার তাহলে এটুকুই থাক।
▪ কিছু কৃতজ্ঞতা স্বীকার -
বিভিন্ন অলংকরণ দিয়ে যারা সাহায্য করেছেন তারা হলেন
পাইলট সেকশন ও সম্পাদকীয় বিভাগের অলংকরণ- রুমা ঢ্যাং
মিক্সড কম্পার্টমেন্ট - সুকান্ত ঘোষাল
কম্পার্টমেন্ট - ১ , ২ এবং ইঞ্জিন বগির অলংকরণ - শুভদীপ সেনশর্মা
এবং যারা সবাই লেখা দিয়ে সাহায্য করেছেন আমায় সবাইকে ধন্যবাদ..। ভালো থাকুন...।।
- সুজিত মান্না