Friday 16 November 2018

কুমারেশ তেওয়ারী



পাঠ-প্রতিক্রিয়া 


পাঠ-প্রতিক্রিয়া নিতে প্রস্তুত ছিল যে কবিতাটি
তার শরীরী গঠন ছিল নান্দনিক
ক্ষীণ তটি পীণ পয়োধরা
তবে কোনো সাপগন্ধি বাঁক ছিলোনা সেখানে

পাঠকের জন্য ছেড়ে রাখা স্পেসে যে রহস্য ছিল
খুব স্বাভাবিক, যার থাকার মধ্যেই কবিতার উত্তরণ
যে কোনো পাঠক পড়তে শুরু করলে তাকে
অসম্ভব মগ্ন এসে করে দেবেই তাকে স্থিতধী সাধক

কবিতাটির ভেতরে এক আগুনও ছিল
তবে তার রূপ দাউদাউ নয়
নম্র এবং শান্ত স্বভাবে এক গা সওয়া আঁচ
বের হয়ে আসছিল তার নাভিকুণ্ড থেকে
সেই আঁচ ছড়াতে ছড়াতে কবিতাটি স্বাভাবিক নিয়মেই
প্রস্তুত করেছিল নিজেকে, পাঠ প্রতিক্রিয়া নিতে

কথকতা


কথকতা থেকে নীরবে শোষণ করি যাপনের আলো
গেরস্ত প্রদীপ জ্বেলে পার হই উৎপাদনের মাঠ
দেখি, শস্যকণা মুখে মেঠো ইঁদুরেরা
প্যারেডে নেমেছে এক আলোকিত মাঠে
তাদের চলার পথে শব্দ নেই কোনো পতনের
র‍্যাম্পের জটিল কিছু শর্তাবলী নেই

মাথায় মুকুট পরে চাঁদ দেখতে দেখতে
যে মেয়ে পাগল হয়ে যায়
যে ছেলেটি বাৎসায়ন কোলে
বেঁধে ফেলতে চায় চাঁদের কুসুম
তারা কি দেখেনি কেউ ফসলের মাঠ?
স্বপ্নে দেখে শুধু নীল হরিণ-হরিণী চেটে খায়
                                               রাতের পতন?
যাদের অলীক ডানা মেখে রাখে পরাবাস্তবতা

এসবই আসলে এক জটিল অসুখ
সোহাগকুসুম ছেড়ে আম্রপালি ভ্রম

যেখানে অলাতচক্র ঘোরে বনবন সেখানেই
বিপুলের ঘাড়ে পা রেখে ক্রমশ উঠে যায়
স্বপময় এক স্পাইরাল আর নষ্ট মিথকথা

No comments:

Post a Comment