Saturday 17 November 2018

গৌরাঙ্গ মন্ডল

উজাড় 



কী তাণ্ডব দেখালে, তৃতীয়া
কী তাণ্ডব শুনিলাম

তুমিই সে গুরুপত্র
নিম্নে লিখিলাম

নাও বৃক্ষ, নাও টুপ্, অলভ্য সঞ্চয়
ভরে ওঠো হানিতে হানিতে

এ ভাণ্ড ফুটিয়া যাক গড়ন ঢালিতে

অন্যতমা



অন্যতমা, ধোঁয়ায় ভেতর, নুনের ভেতর একশো দুশো বছর চলা লবণজলে ধূলোবৃষ্টি ভিজিয়ে গেল বিকেল-প্রাতঃ নিরাসক্তির অনুষঙ্গে। এখন তো ভোর-স্নানের জন্য ডেটল, ওয়াশ কিছুই তেমন কেনা হয় না। কিন্তু, ঘুমে স্তব্ধ যখন তোমায় নিয়ে তোমায় দিয়ে তোমায় ছাড়া সমস্ত রাত এলবেলে ভুল স্বপ্ন বিছোয় গায়ের গন্ধে শূণ্যতারা। এখন না সেই এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভাবতে ভাবতে, ভাবতে মোটে ভাল্লাগে না। সেদিন ছুটি। ফাঁকাই ছিলাম। ঘুরতে যাওয়া বন্ধু বাড়ি টবের কাদা-সারের মাঝে, সত্যি বলছি-- দ্রবীভূত তোমার রেণু, পাপড়ি, কথা , দৃষ্টিকুচি কুড়িয়ে পেলাম। মূহুর্তে নীল আঁতের থেকে, ঘাতের থেকে জিভ অবধি রক্তবমন, সত্যি বলছি এক নিমেষে ঘেন্না ভাঁটায় গুটিয়ে নিলাম, ইচ্ছে মতোই কোনো তত্ত্বে জীবনধারণ সহজ হলেও জীবন ধরা বেশ অ্যাবসার্ড। সব মেয়েরাই প্রথম রাত্রি শোয়ার খাটে কাছিম হয়ে গুটিয়ে যায়..গুটিয়ে যায়.. লুটিয়ে যায়

No comments:

Post a Comment