আবার আষাঢ় ঘনিয়েছে
(১)
যখন স্রোতস্বিনীর টানে
কচুরিপানার কুম্ভকর্নের ঘুম ভেঙে যায়
গতি পায় ছুতোরের ভ্রমিযন্ত্র
বস্তুও ভাসমান
কেননা এখন আবার আষাঢ় ঘনিয়েছে
ছুঁচোরকেত্তন করার জায়গা নেই
কুকিসের মধ্যে থেকে ফুলে উঠেছে নোনাজল
যে দূরত্ব শিরোধার্য হল তার জন্য
একবার আমার পালিয়ে যাবার সমূহ ভাবনাটাকে
সাময়িক পোশাক পরালাম
এই বিশ্বে ভাসাভাসা কথারা ফুলঝুরি ফোটায়
আর তারা সবসময়েই অ্যাপার্টমেন্ট বানায়
স্বল্প জলে
আজ আর আমার কোন রক নেই বসার
(২)
শহর ছুঁয়ে ঘরে ফিরছে এখন কলমিলতারা
পায়ের শব্দ কানে গেলে
নদীর খুব কাছ থেকে উড়ে যায় কালো পায়রা
উড়ছে স্বপ্নচ্যুত শাড়িও
উচ্ছিষ্ট মৃত ফুলকে আশ্রয় দিয়ে বসবাস
কাদামাটির
তার পাশেই বাড়ি বানাচ্ছি জীবন দৈত্যের জন্য
(৩)
রাস্তা থেকে ফাঁপা জেটি পর্যন্ত এগিয়ে
পিঠে লাল ব্যাকপ্যাক নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম
আমার বিপরীত দিক থেকে আসার কথা ছিল ষ্টীমার
যেন একযুগ শেষের পরে
আসা যাওয়া মিলে যাবার পয়েন্টে দেখলাম ভাঙা ক্রাচ
থামব কি!
নিঃশ্বাসে হাওয়া লাগিয়ে
ফুলদানীর বদলে ছোট্ট মাছের বয়ামে বরঞ্চ সাজাই
ড্রেসিংটেবিল
লক্ষীপেঁচা ঘুমিয়ে পড়ুক শিকারকৃত কাজ সেরে
আমার এখন রাতজাগার পালা
ভালো লাগল রুমা। খুব ভালো।
ReplyDeleteধন্যবাদ দাদা। আনন্দিত
Delete