Saturday 1 July 2017

দিশারী মুখোপাধ্যায়

খাঁটি



আমি এখন বেশ সাফসুরত
এখন প্রতিটি রাত্রিদিন আমার আজ্ঞাবহ
আমি এখন বেশ আমি-আমি

নিজের ইচ্ছে মত কাজ করি
ইচ্ছে মত পেঁতে ভরে সংগ্রহ করি নিজের সুনাম
আর দিনরাত মান্য করি খড়ির গন্ডির বিবেক
কেউ আর আমাকে বলার সুযোগ পায়না
সে অভুক্ত ,সে অনিদ্রিত , সে দিশাহারা
এখন আমি কেবল নিজের ফোড়নেই রাঁধি
নিজের ব্যাঞ্জন
ব্যাঞ্জনের ব্যাঞ্জনা নিয়ে মিথ্যে মাথা ঘামাই না

আমি এখন ক্যামেরায় ক্লিক করা হাসি
রেখা নিয়ে রঙ নিয়ে ভাবার সুযোগ দিইনা কাউকে
আমি এখন কেবল আমি
নিংড়ালেও পাবে না কেউ তুমির ছিটেফোঁটাও

এখন আমার চাকরি-জীবন
শুধু চাকরি দিয়েই ভরা


 করমর্দন




সকালে উঠেই দেখি একটি পূর্ণচ্ছেদ দাঁড়াতে চাইছে সামনে
অথচ রাতের দেখা স্বপ্ন গুলোতো এমন কোন ফোর্কাস্ট করেনি
তাই তোমার নামের বানান , রস , গন্ধ সব একসঙ্গে নিয়ে একটা পানীয় তৈরি করি
তারপর পৃথিবীর সব পূর্ণচ্ছেদকে কোলন-ড্যাসে পরিবর্তিত ক'রে নিই

তুমি মাটির কথা বলেছিলে , বলেছিলে আগাছার কথা
কে গাছা আর কে আগাছা এই নিয়ে তুমি আমি কেন আমাদের বুকের সুগন্ধ নষ্ট করবো
আর জন্মসূত্রে কেউ গন্ধরাজ বা রজনীগন্ধা হয় না
প্রত্যেকের গন্ধ থাকে তার সেরিবেলামে

তারচেয়ে চল তুমি আমি মিলে কয়েকটা ছাঙ্গু কিম্বা টাইগারহিল বানাই
কয়েকটা মিসিসিপি কিম্বা তোর্সা
আচ্ছা , তুমি যা বলবে তাই হবে , কারন আমি তো জানবো আমি আছি মনের সাথে
নিজের হাতে বানিয়ে নেওয়া ছোট্ট টিলাকেও মাউন্টএভারেস্ট ভাবতে বা তাকে
স্যালুট জানানোর মত উঁচু মাথার অধিকারি হ'তে আমার কোন সীমাবদ্ধতা নেই

তাই সকালে উঠেই যে পূর্ণচ্ছেদকে সামনে আসতে সাহসী দেখেছিলাম
সে এখন স'রে গিয়ে রাস্তাকে অনন্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে
মনের সাথে একটা গবেষণাগারে গিয়ে ঢুকেছে

2 comments:

  1. ধন্যবাদ অন্তহীন সম্পাদক

    ReplyDelete
  2. দুটোই খুব সুন্দর।তবে,'আমি' বা 'তুমি' এগুলোর প্রয়োগ আরেকটু কমানো যায় কিনা - এ নিয়ে ভাবা যেতে পারে

    ReplyDelete