শুক,তোমাকে
১.
শুক, তোমার জন্য
এক নৌকো কবিতা নদীর বুকে
ভাসাবো ভেবে নিজেই কবে পাখি
হয়ে গেলাম,সেকথা তোমাকে
বলা হলো না কোনোদিন।
এপৃথিবীর সকল অসুখ থেকে
তুমি থাকো দূরের কোনো গ্রহে ।
সেখানে দুটি আগ্নেয়গিরি
জেগে উঠলে রোপিত হোক
সবুজ ঈশ্বরীয় পতাকা।
বীজ ভেঙে, মাটি ফুৃঁড়ে,
আকাশে ডালপালা মেলে দিক,
তোমার গোপন আদুরী স্বপ্ন।
সেখানে পাখিরা বসুক, শিস দিক
পাক না ভরসার আশ্রয়
অলৌকিক মায়াবী আলোয়
মৌমাছিরা চাকের রানিকে ভুলে
নিজস্ব পছন্দে প্রিয় ফুলের
পরাগরেনু মেখে মধুতে থাক।
মনখারাপে তোমাকে ভাবি,
হিংসার এক গভীর অসুখ।
মুক্তির তমসা নদীতে ডুব,
ডুব ডুব স্নান সেরে
আর ওঠা হয় না কোনোদিন ।
দুঃস্বপ্নের রাত্রি সকাল হয় না।
দখিনা বাতাসে ভাসে অস্পষ্ট যমদন্ড।
মনে হয়, শালা শুয়োরের,কুত্তার জন্ম !
ভাগাড় থেকে দূরে পড়ে আছে শবদেহ,
কোনো শকুন আসে না দূরন্ত উল্লাসে...
২.
শুক,
নববৃষ্টিধারায় যে কচি কচি ধানের চারা পুতেছিলাম তোমার দেওয়া বিষন্নতার মাঠে
ওরা সব মুড়ো হয়ে পড়ে আছে আল্ট্রাসোনোগ্রাফের কালো কালো দাগে...
৩.
স্থির নদী ধরে ঝাঁকাই
নিস্তরঙ্গ স্থির জলে
কালো পাকা তাল ছুঁড়ে
তোমাকে চঞ্চল করার চেষ্টা করি
পারি না কিছুই
একলা ঘরে যে টিকটিকিটি
একদিন জাগাবার চেষ্টায় ছিল
সেও আজ কেমন আরশোলা মুখে
শোকেসে স্থির হয়ে আছে
তমসাময় সে রাতে
দুগ্ধবতী ভোরের হাতছানি চিনে
তোমাকে খুৃঁজি মোহর চাদর চিরে ফেঁড়ে...
দুগ্ধবতী ভোরের হাতছানি চিনে
ReplyDeleteতোমাকে খুৃঁজি মোহর চাদর চিরে ফেঁড়ে...খুব সুন্দর
দারুণ দাদা
ReplyDeleteশুক নামের দ্বিতীয় কবিতাটি ভালো লেগেছে বেশি
ReplyDelete২,৩ বেশি ভালো লাগলো ❤❤❤
ReplyDelete