Friday 1 September 2017

সুবীর সরকার

হাসপাতাল থেকে বলছি


১।
আর জাহাজের ডেক থেকে জাস্ট একটু
                     দিগন্তরেখা
অন্ধকার ঘরগুলিই তো আমাদের দেশ
পেনসিলে সুতো বেঁধে নাও
মাটিতে লাটিম ঘুরছে

২।
বড় শহরের হাসপাতাল
দেখতে পাচ্ছি মোমমাখানো
             করতল
চোখে চোখ রাখলেই
হাসপাতালে বেড়াল ঢুকে
             পড়ে

৩।
বিকেলফেরত না হয় একদিন দেখে আসবো
তোমার বাদামরঙের বাড়ি
দোলনায় রোদের দিকে সরে যাওয়া
                 পাখি
সাঁকোঘেরা এই শহর
তোমার জন্যই ঘুঙুর ও
           কার্নিভাল

৪।
যখন কথার ভিতর শেষরাতের কুয়াশা
এই শীতের ঘনায়মানতায় কেবল ডানার
                     শব্দ
শোক ও সংকট পেরিয়ে শেষাবধি টংঘর

৫।
আর শহরের রাস্তায় চড়ে বেড়ানো বাদামি
                      ঘোড়াগুলো
জলাশয়ের ধারে জন্মদিনের উইশ
টেনিসটেবিলে নেমে আসা
             শ্রাবণমেঘ
বিকেলের বিষন্ন অংশে ক্যাপটেন সাজিয়ে
                   রাখছেন
লম্বাচওড়া হাসি।
‘চোখের আলোয় তোমাকে লুকিয়ে
                   রাখবো’
পাখিদের মরণকামড়
আর নদীতে শ্যাওলা ভাসে





শিরোনামহীন


শহরে বর্ষা।অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা
বাঘের গুহায় গিয়ে তার শাবক চুরি করে
                       আনবো
খুঁড়িয়ে চলা শহরসুন্দরী!
বিষন্ন সন্ধ্যের গল্প বলে আর বোকা বানানো
                    যাবে না
আমাদের।
ঘড়িগুলো ঘোড়ার পিঠে
ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা,বেজে উঠছে
                 স্মার্টফোন
একটা ছবি দেখেছিলাম যেখানে বন্দুক হাতে
               জোতদার।আর শীতটুপি উড়ে
যাচ্ছে বিষন্নতার দিকে।
তবে কি দীঘির জলে লুকিয়ে থাকবো হাজার
                     বছর!
বিশ্বাসভঙ্গ আসলে তো একধরনের
                    নীরবতা
ঘনঘন টাট্টুঘোড়া,কচুরপাতায় জল
জং ধরা ট্রিগার
বিকেলের শেয়ালেরা
শান্তি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে দেখি
বড় রাস্তায় মিশে যাওয়া
               গলিগুলি
কত কত জল ছিল
হাওড়ে মিশে যাওয়া হাসি
জীবন কেটে গেল আস্ত এক অ্যাসাইলামের
                   ভিতর
গুলির শব্দ,কেশর ফোলানো ঘোড়া
হাহাকার জাগা পাথারবাড়ি
পলায়ন নেই,দুপুররৌদ্র আছে
কি করে বল সংলাপহীন থাকি!
বিতর্ক তাড়া করবে সারাজীবন
বড়জোর সংলাপ ভুলে যাবো
সুপুরিবাগান থেকে কুড়িয়ে আনবো
                ঢেকিশাক
আঙুলে জ্যোৎস্না।আর
জল ও জঙ্গল চিরস্থায়ী






No comments:

Post a Comment