Friday 1 September 2017

সুজিত মান্না

শেষমুখো...


পথের ধারে ছেলেগুলোকে হাসতে দেখেছি
বহুদিন এই অন্ধকার মেঘেদের ছেড়ে
                            এমুখো হতে পারেনি

ভালো আছি শুনেছি কাল রাতে
ইঁদুরের শব্দ পেয়ে  পর্দা টেনেছি
                               আমিও মানুষ মাপতে পারি...

ওই যে দিগন্ত তোমায় আমার ডেকেছিলো
একা থেকে কি
সে সংকেত দিতে পারে ?

বহুদিন অন্ধকারের লুকোচুরি দেখিনি ,
নতুবা একজীবনের পথে তোমার
                                        আমি সামাজিক হয়ে যেতাম ।

তুমি নির্জন হয়ে গেলে
এখানে শস্যক্ষেতে গভীরতা মাপা হয়
             তুমি ঘুমিয়ে গেলে ?
             দু-চারজন এগিয়ে আসে
                               ধোঁয়ার নামে উপার্জন খুঁজে নিতে...

রোদ্দুর থেকে দীর্ঘ হেসে নিই
তুমি বত্রিশটা কুকুর নিয়ে
আরো বত্রিশের ফলাফল দেখো...

..

গোধূলি



কিছু অনুমান ভুল ছিল বলে
পার্শ্ববর্তী জাগরণে হাত বসায়
              বোঝাপড়ার শিকড়ে শিকড়ে
                                                ভুরুর বাঁক দেখি ।

অন্ধকারে লুটোপুটি খাওয়া একাকী বিষাদের কথা
মৌন থেকে
                 রোদ্দুর না থাকায় ,
                                 জ্যোৎস্নায় অলৌকিক হয়ে ওঠে

কেউ এভাবে এলেই , আমার ছায়ামুখ বেড়ে ওঠে না
নিবিড় হওয়ার ইচ্ছে সাজিয়ে
                        রিক্ততা ভেজায় কারো অনুপস্থিতিতে ।

ওদিকে বাগান মুখ উঁচিয়ে থাকে
প্রান্তরের গোলাপ
               ফাল্গুনী নেশায় গোধূলি ভুলে যেতে চায়

এভাবেই দেহহীনতায় ম্লান হয়ে উঠি...

মাটির কিছুই হারানোর নেই ,
আমি পারি কিংবা না ,
                   সিঁড়ি ধরে উঠে যাবে গোলাপের বসন্তদিন ।

কথা বলি নিজের সাথে , দুপুরবেলা অন্য অবেলায়
রাস্তার অনন্ত পথ পড়ে আছে বাকি
স্পন্দন কমে আসে পাশাপাশি ভ্রান্ত ধুলো উড়ে গেল ।

1 comment: