Friday 1 September 2017

কুমারেশ তেওয়ারী



  এ সবই আলোর ক্যারামতি


তবুও একদিন এই পথ মেপে মেপে পৌঁছে যাওয়া
অনাবিলের কাছে। থকথকে প্রোটোপ্ল্যাজম যেখানে 
অলৌকিক বীজ নিয়ে অপেক্ষায়। মেঘজন্ম
ঈশ্বরের সাথে যে কথপোকথন সেরে নেই তার
সেরিব্রালের কথা বলে যেভাবে ভয় দেখায়
সেখানে প্রলাপ কিছু নেই নাভিমুল থেকে উঠে আসা
কিছু অভিমান। ঈশ্বরেরও চোখে জল এনে দেয়। 

তাঁবুর ভেতর থেকে বের হয়ে আসে আলটপকা উট 
দেখায় পিপাসাও হতে পারে মহাকাব্যিকধর্মী। কুঁজ
ফেরি করে যে জল অন্তত তার কোনো বাহানা নেই। 

হলুদ দাঁতের ফাঁকে যেটুকু ধরে রাখে বিনিপাত
সে তো নিজেরই গড়িয়ে পড়া আনত ভঙ্গিমায়। 
পথের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে থাকে
অমলতাসধর্মী ভায়োলিন। মনখারাপের রিলিভার নিয়ে
এইসব থাকাগুলি বেজে ওঠার নীল অপেক্ষায়
শুয়ে থাকে চোখের পাতায় নিয়ে সবুজাভ ঘুম।



নির্বাচন


মায়াবী বন্দরের সঙ্গে কতটা মিল রয়েছে
গ্রাম্য ধানক্ষেতের?

এমন একটি প্রশ্ন নিয়ে যখন ছায়াপথের
উচিত ছিল তুলকালাম 
পরিবর্তে পায়েলের ঝনৎকারের রহস্য নিয়ে
মাথা ঘামানোতে কিছুমাত কৃতজ্ঞতা নেই
আলফা বিটা গামার 
বরঞ্চ ঝরে পড়তে থাকে বিহ্বল স্বপ্নের নষ্ট ফল

ধ্বনিত ভ্রম থেকে বায়ুভুক ঘোরতন্ত্র বেরিয়ে এসে
যদি চেয়ে বসে কুঞ্জবনের কৌলীন্য 
তবে শুধু পিচ্ছিল বাঁশে বাঁদরের প্রয়াস নিয়ে
কিছু স্যাটায়ারিক উপকথাই গড়ে উঠতে পারে
ধ্বন্যাত্মক আলো কিছুতেই আসতে চায়না কাছে
রাত ক্রমশ পিছলে সরে যেতেই থাকে হিস্টিরিয়ার দিকে

তবুও ধানক্ষেত তার আঙুল নেড়ে রেখে দেয়
মিলনসূত্র ও রতিহরিণীর ডাক
যার মঁশিয়ে বা মাদমোয়াজেল সম্পর্কে নেই কোনো জ্ঞান 
শুধু জানা আছে তার চর্যা পথের উপরেই
ছড়িয়ে পড়ে থাকে কক্ষপথ

একথা বন্দরে ভেসে আসা জলযান জানে
বাস্তবতার বায়োপিক জানেনা

3 comments: