এপিডেমিক
মেঘের চিবুকে আস্ফালন দেখা দিলে
আঙুর ক্ষেত হয়ে যায় একটা টাব
রোদের দাহ্যকথা ঢুলুঢুলু
রাস্তা মুছে বানরজাম্পের ছয়লাপ
চোখ মণিময়
মণিহারে জলের দাগ
সাগরের অনুবাদ করতে গিয়ে যা দেখলাম
একটা ছোট নদীও কিভাবে যেন উপচিয়ে গেল
তাকে মাপতে কয়েক গ্যালনও কম পড়ে যায়
যদিও বৃষ্টি ইস নট ওভার টিল নাও
ঘোড়াদের নিয়ে আমি যতই রাবারে টান দিই না কেন
বর্ষার ফ্রেম ভাদর টেবিলে
আর ভিজে শহর জলের গভীরে মাথা পাতবেই
প্রতি ডিগ্রীতে বেড়ে যাচ্ছে একদাগ যন্ত্রণা
ডুগডুগি রাত জাগিয়ে রাখছে ওদের
সব হারানোর অসাম সংশয় নিয়ে
যেখানে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং টাঙাচ্ছি
কারণ পৃথিবী একটা প্যারাডক্সের নাম
যাকে কল্পনা কি করে বলি
উইন্ডো অস্তিত্বের শোষণ এখানে এপিডেমিক
কুসুমরমণী প্রসঙ্গে
নেভানো বিকেলজাত মনের সামনে
যে জলবৃক্ষ দাঁড়ায়
তার ঠোঁটের কোনে নিয়মিত একটা ঘন্টা বেজে চলেছে
বার্তা খুঁটছে বৃষ্টি
তার পায়ে সকালের ঢেউ
কুসুমরমণী আমড়া চিবোচ্ছে,
আলতাকাটা পায়ে পা রেখে
কিন্তু তাকে প্রশ্ন করি নি
সূর্য আঁকা জটিল নাকি
চাঁদের শরীরের কুয়াশাঘুম
আর একবার তাথৈ মাস ঘিরে পতাকা জড়ো হলে বুঝতে সুবিধে হয়
মধ্যদুপুরে যে রোদ বেপরোয়া
তার কোন জালকাটা টান নেই
তাই, নিজের মধ্যে গজিয়ে ওঠা শামুকের অস্তিত্বে
ক্রমশ ইচ্ছার মুখ ঢেকে যাচ্ছে
দেখলাম লোকটা সার্কাসপার্টিতে নাম লেখালো
আর মেয়েটা
পাহাড়ের পাদদেশে রেখে দেয় কালোঝুল
সেখান থেকে জলপ্রপাত গড়িয়ে যায়
যদিও পাখির গানে সেকথা বলা ছিল না
দারুন দারুন।তবে পৃথিবী ও প্যারাডক্স : নাড়িয়ে দিল
ReplyDeleteভালোই
ReplyDeleteভালোই
ReplyDelete