Friday 1 September 2017

রুমা ঢ্যাং



এপিডেমিক


মেঘের চিবুকে আস্ফালন দেখা দিলে
           আঙুর ক্ষেত হয়ে যায় একটা টাব
রোদের দাহ্যকথা ঢুলুঢুলু
রাস্তা মুছে বানরজাম্পের ছয়লাপ

চোখ মণিময়
মণিহারে জলের দাগ

সাগরের অনুবাদ করতে গিয়ে যা দেখলাম
   একটা ছোট নদীও কিভাবে যেন উপচিয়ে গেল
তাকে মাপতে কয়েক গ্যালনও কম পড়ে যায়
            যদিও বৃষ্টি ইস নট ওভার টিল নাও

ঘোড়াদের নিয়ে আমি যতই রাবারে টান দিই না কেন
     বর্ষার ফ্রেম ভাদর টেবিলে
আর ভিজে শহর জলের গভীরে মাথা পাতবেই

প্রতি ডিগ্রীতে বেড়ে যাচ্ছে একদাগ যন্ত্রণা
ডুগডুগি রাত জাগিয়ে রাখছে ওদের
                                  সব হারানোর অসাম সংশয় নিয়ে
যেখানে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং টাঙাচ্ছি
     কারণ পৃথিবী একটা প্যারাডক্সের নাম
       যাকে কল্পনা কি করে বলি
 উইন্ডো অস্তিত্বের শোষণ এখানে এপিডেমিক




কুসুমরমণী প্রসঙ্গে


নেভানো বিকেলজাত মনের সামনে
            যে জলবৃক্ষ দাঁড়ায়
তার ঠোঁটের কোনে নিয়মিত একটা ঘন্টা বেজে চলেছে
বার্তা খুঁটছে বৃষ্টি
                 তার পায়ে সকালের ঢেউ

কুসুমরমণী আমড়া চিবোচ্ছে,
                   আলতাকাটা পায়ে পা রেখে
  কিন্তু তাকে প্রশ্ন করি নি
সূর্য আঁকা জটিল নাকি
                       চাঁদের শরীরের কুয়াশাঘুম

আর একবার তাথৈ মাস ঘিরে পতাকা জড়ো হলে বুঝতে সুবিধে হয়
  মধ্যদুপুরে যে রোদ বেপরোয়া
       তার কোন জালকাটা টান নেই
তাই,  নিজের মধ্যে গজিয়ে ওঠা শামুকের অস্তিত্বে
             ক্রমশ ইচ্ছার মুখ ঢেকে যাচ্ছে

দেখলাম লোকটা সার্কাসপার্টিতে নাম লেখালো
  আর মেয়েটা
                পাহাড়ের পাদদেশে রেখে দেয় কালোঝুল
সেখান থেকে জলপ্রপাত গড়িয়ে যায়
      যদিও পাখির গানে সেকথা বলা ছিল না                      

3 comments:

  1. দারুন দারুন।তবে পৃথিবী ও প্যারাডক্স : নাড়িয়ে দিল

    ReplyDelete