শেষ খেয়া
সারা উঠোন জুড়ে খেলা করছে বৃষ্টি। থৈথৈ করছে জল,জলের ছোটো ছোটো স্রোত বইছে এদিক ওদিক।বাচ্চাটা দাওয়ার একধারে বসে ভাসাচ্ছে কাগজের নৌকো।
উঠোনের একপ্রান্তে বসানো চারা গাছ মাথা দোলাচ্ছে আর ভাবছে সামনের বছর আর জলের এই স্রোত ওদের কাবু করতে পারবে না। এখন ওদের জীবন সংগ্রামে লড়তে দেখছি সারা দিন রাত।
বাগানে গন্ধরাজ গাছ তীব্র গরমে ফুল দিয়ে সুগন্ধে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো ক্লান্ত শরীর। আজ ওর মাথায় দেখছি কচি কচি পাতা এসেছে। চাঁপা গাছটিতে ফুল কম হচ্ছে। কেন জানিনা ওর একটু অভিমান হয়েছে।ওর পাশে রয়েছে একটি বাবলা গাছ।
মাঠের জল এসেছে বলে চাষীরা আনন্দে ভরপুর । আলুতে এবারে লাভ হয়নি । ধান তো রুইতে হবে। নেমে পড়েছে মাঠে কোমর বেঁধে।
ভোরের বেলায় উঠোনময় বিছিয়ে পড়ে থাকছে শিউলি ফুল। যেন বলে যাচ্ছে মায়ের আগাম আগমন বার্তা। মায়ের নাকি এবারে নৌকায় আগমন।
দূর থেকে শুনছি করা যেন কথা বলতে বলতে যাচ্ছে নদীর খেয়া পারাপার আজ বন্ধ যাবে। তাই যারা ফিরবে এটাই আজকের মতো শেষ খেয়া। আহা কতো রূপেই না কথার বিচ্ছুরণ।
.........."খেয়া পারাপার বন্ধ হয়েছে আজি রে
ওগো যাসনে গো তোরা
যাসনে ঘরের বাহিরে।"
ঘূর্ণন
একটা আমি র ভিতর একটা ঈশ্বর
অস্ফুটে এক বিশ্লিষ্ট চেতনা
বালির নদী থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছি
কিছু মুক্তহীন ঝিনুক
সেকেন্ডের কাঁটার ঘূর্ণনে আলোর ফোঁটা
প্রজাপতি সময়ের অবক্ষেপ জমে চলেছে
রাস্তার পাশে শ্মশানের স্তব্ধতায়
চিরহরিৎ জীবনের ভিড়
খুঁজে চলেছি জীবাশ্মের সন্তান
No comments:
Post a Comment