Friday 1 September 2017

জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি





অবহারিকা



আঙ্গুলের ভিতর লুকিয়ে আছে যে নিভৃত নিশ্বাস, সেই ক্ষনিকের সম্মোহনে তোমাকে ডেকেছি মা বলে,
ভাঙতে ভাঙতে তোমার রক্তশূন্য শরীরে
দাঁত বসালাম অনায়াসে,

যেমন করে একটা নদী মরে গেলে
রেখে যায় মৃতখাত, তেমনি প্রতিবার
তোমার কঙ্কালটা ঝুলিয়ে দিই বাঁশের উপর,
পতপত করে নেচে ওঠা
তোমার কঙ্কালের দিকে তাকিয়ে অনিমিষ,
স‍্যালুট ঠুকেছি বুক ঠুকে।

প্রতিবার এই বিসর্জনের কোলাহলে
প্রকোষ্ঠে জেগে থাকে রাত পেঁচারা,
বিবর্ণ রাতে তবু কিছু জোনাকি জ্বলে ওঠে,
জানি কাল শুধু ঝিঁঝিরব।



রাতের কবিতা


অভিমানের পাহাড় সরিয়ে
হয়তো ভিতরটা দেখা যায়,
হয়তো দেখা যায় জল ছুঁইছুঁই গভীর খাদ,
বিনুনি বেয়ে নেমে গেলে নিচে,
আকাশ ছোঁয়া যায়।

যে কবিতাটা শূন্যে লাফ দিল,
আমিও তার মতো মাঝদুপুরের পাখি হতে পারি, আমি তোমার পুতুল খেলায় ভাগ বসাবো না, আমাকে নেমন্তন্ন কোরো
তোমার ধুলো বালির সংসারে,
অকারণে মিছিমিছি।

কিছু অহেতুক খুনসুটিতেই বানানো যায় সেতু,
মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা দাম্পত্য জীবন।
রাত চেটে খায় আমাদের ন‍্যাংটো ইতিহাস,
আমি বিছানা জুড়ে অঙ্ক কষি,
অঙ্কে শাড়ি ওড়ে, অঙ্কে বৃষ্টি পড়ে।

No comments:

Post a Comment