Friday 1 September 2017

চঞ্চল নায়েক

ঋণ


উদ্বাস্তু ঝড়ের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে খুঁজি গত জন্মের ঋণ...
আপন সত্তাকে বারংবার খুন করে ফিরে যাই বিবেকের দরজায় !

যে নদিতে ভাসিয়ে দিয়েছি আমার সমস্ত কর্মের অভিধান, সে তো এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলেছে মোহনার দিকে।
প্রতিটা বাঁকে রেখে যাচ্ছে কিছুকিছু সংকেত...

ভাঙনের প্রত্যেক ধ্বসে লুটিয়ে পড়ছে বেদনার সূচিপত্র...
এখনো আমি জতুগৃহ পাহারায়...

গাং-শালিকের বাসা দুলছে...
নির্জনতা ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে সাবালক স্মৃতি...
ক্ষুধার্ত সমুদ্র তাকিয়ে আছে ঝড়ের প্রতীক্ষায় !



অনিশ্চিত

আঁচে হাত দিলে ছ্যাঁকা অনিবার্য,
বেপরোয়া হৃদয় মাপতে শেখেনি
আগুনের হৃৎপিন্ডে লুকোনো জ্বালা...

অন্ধকারময় এই যে রাত্রি জেগে থাকা,
তা কি কেবলই রাতের নির্মম ছবি আঁকা?
একদিন এমনও ছিল যখন এরই মধ্যে
সুপ্ত জাগরণে ছিল --না জানি কত স্বপ্ন!

বীজের মতো পর্দা ঢাকা ছিল পাখির ঘুম।
বৃহৎ বটের ঝুরিতে রাত্রিবাস করেছে কত
অজানা পাখি আর অচেনা প্রাণী...
তবুও সেই প্রেমিক নিশীথের বুকে কোনদিন
জড়োয়ার ঝুমকো বেজে ওঠেনি!

এখন প্রতিটা নিশুতিরাত শৃগালের ডাকে কেঁপে ওঠে,
মাতৃ গর্ভের ভ্রূণরাও বিকলাঙ্গ সকাল দেখে।
ভয়ার্ত নাবিকের হাত কেঁপে ওঠে,
নৌকো দুলতে থাকে অনিশ্চিত ভাগ্যান্বেষণে...


No comments:

Post a Comment