আমি মরতে চেয়েছিলাম
কেউ রজকিনী নয়, অথচ আমি মরতে চেয়েছিলাম
বউয়ের কাছে এবং প্রেমিকার কাছেও
কিন্তু অসফল হয়েছিলাম বলে
অর্ধমৃত বয়ে বেড়াচ্ছি নিজেকে
কত কত সোনার ধান বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে ঘরে
তাদের প্রেমিকার হাতে চক্চক্ করছে সোনার বালা
তাদের বউয়ের গলায় দুলছে হিরের নেকলেস
বাগান ভরে যাচ্ছে ঢেউ খেলানো ফণায়
উৎসবের ঢোল বেজে উঠছে আর দুলছে অমৃতভাষিণী ফণাগুলি
দূরে আমি কয়েক হাত অন্ধকারের গভীরে
শুঁটকি মাছ আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করছি রাত্রির খাবার
দু একটা শূকর এসে শুঁকছে দুয়ার
নূপুর বাজার মরশুম খাঁ খাঁ করছে পৃথিবীতে
কবরের অন্ধকারের মতো রাত্রি অদৃশ্য পোকারা কাটছে
আমার শুঁটকি মাছ পোড়া গন্ধ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দূরের বাতাস
নিছক একাকী বাঁশি
অসম্ভবের গাড়ি চড়ে চলে যাচ্ছি
একান্ত কৌতুক ইচ্ছা
সঙ্গে আছে অবাস্তব আমাদের মহিমারঞ্জন
অযোগ্যতা যদিও প্রচার করছে সবাই
নিজেরা দেবতা হয়ে ঘরকে করেছে দেবালয়
আমি শুধু রাস্তার কুকুর
পিছন পিছন গেছি প্রেমিকার
সূর্য আকাশ ঘিরে আছে
রাষ্ট্র ও পুলিশ আছে আর সমাজ নক্ষত্র সব
জাত এবং ধর্মের বিষাদ এসে আমাকে ছুঁড়েছে ঢিল
কখনো কখনো বিষতির
অসম্ভব রক্তক্ষরণের পর চলে যাচ্ছি
অশ্রুভেজা শুকনো হাতে মেঘের ইশারায়
আজ ছায়া নড়ে উঠছে
ঝরে যাচ্ছে আমার প্রণয় আর শূন্য বাতাসের মদ
নিছক একাকী বাঁশি আমাকে বাজায়
খুব সুন্দর।
ReplyDeleteভালো লাগলো দাদা
ReplyDeleteতৈমুরদার কবিতা খুব ভালো লাগে।
ReplyDeleteআত্মিক আর্তনাদে বিভোর হলেম কবি!
ReplyDelete