Friday 1 September 2017

বিশ্বজিৎ দাস

হাইলাইটার পেন-১

হাইলাইটার পেন থেকে হৃদ্যতার আলো নিয়ে
ভাসিয়ে দিয়েছি সৌর-অভিসার
নেভানো গলায় চুপকথা রেখে তুমি হয়ে উঠেছ
পুষ্পবতী
বাসে ট্রামে আমজনতার ফ্যানেলে তোমাকে রতিসুখ
ভেবে ভেবে ফুটপাত করছে ময়লা! বয়সের চক্ষুরোগ
অসম্ভব বিলিয়ে নাটকীয় মহড়ায় ক্ষুর টেনে সরিয়ে
দিচ্ছে; জরুরি ওভারকোট...

নিলামে উঠে গেলেও তুমি মেয়ে
                                          নারী
                             পড়শি সুন্দরী
তোমার দেখভাল করে রাষ্ট্র! হাত বাড়িয়ে দেয় জিএসটি
দিল্লী, মধ্যপ্রদেশ দূরের কার্নিশ থেকে উদ্ধার হলে
যখন; বড় প্রেম ছুড়ে দিলে আইনের গালে!
ও তোমার কালো-সাদা বৈঠক গেল ভেস্তে...

ভূগর্ভস্হ জলেও নিজেকে চিনলে না
কত ঠাণ্ডায় মা হলে এমন ভাবে যে
বুঝলে না; বলাৎকার কাকে বলে?
পাথরের চেয়েও সঙ্গী হলো নিপুণ ভবিষ্যৎ!
কৃষকেরা খাজনা নেবে বলে, এখনো দাঁড়িয়েছে পথে
এ পথের সীমিত লালায় কিনেছ লাকি কুপন! তুমিতো
সব শেষ হয়ে এসে বলবে একদিন অমৃত মানেই গরল

জীবনের
প্রতিপালিত সিস্টেমে গিলোটিন
আয় আয় বলে ডাকতে থাকে; স্বপ্নযাত্রা
ঝাপসা হলে বুকে ব্যথা নিয়ে নোলক পরে
অবশেষে ডিসকানেক্ট! খুব বেশি সহজ হাসি
দিয়ে চলে যাও মর্গের বাসনার অবুঝ ঘরে...

স্মৃতি-মন্থন জেনে
আমৃত্যু খুলির কাছে কেঁদে কেঁদে জুড়িয়েছ
সকল জ্বালা| ন্যাশনাল হাইওয়ে নিয়ে আমিও
সমাপ্ত করি; মহিলা কম্পার্টমেন্টের আদি পালা
লিখেছি আমি| বাল্মীকি নই, কবিগুরু নই, নই একালের
কোনো বিরাট মাপের আগ্নেয়-লাভা! আমার হাতে আছে
অনিন্দ্য রায়ের হারপুন; তাকে সোহাগে সোহাগে করি
ধারালো...
জমকালো
রক্তমাখা
ব্লাউজ দেখে
গেঁথে দিই নিজস্ব প্রাইম অস্ত্র; গন্তব্যের জরায়ুতে
প্রতিটি পুরুষ এবার বলো, ব্যাধি কার তবে?...


হাইলাইটার পেন-২

হাসির মধ্যে যে সিংহ ছিল; তার গায়ে ঝিলিক দিয়ে
শিকার করেছ অঙ্গীকার! ওহ্, পোড়ামাটির ওপরে
মিথের বাড়াবাড়ি চিৎকার; অসহ্য লাগে! লাগে তো...
বেকার ছেলেটির এরচেয়ে বেশি কি পাওয়ার ছিল?

কলেজ পড়তে পড়তে এভাবেই এভারগ্রীণ স্বপ্নে
লাল হয়ে গেল কত যুবকের ফ্রেমওয়ার্ক
চোখ থেকে কত ঈর্ষা বেরিয়ে মজে গেছে সরলতা!
খেয়াল করোনি; কঙ্কালের ভিতরে আত্মমুগ্ধ-হত্যা
বেছে নিয়ে, এখনো সকালের রাস্তায় বাতাসের ভুলে
বসে থাকে একা, নিরালায়...

সম্পর্কের স্বীকৃতি বুঝে অনেকেই তোমাকে আলো করে
বুঝেছে; সামান্য কিছু তাপ থাকা সত্ত্বেও শীতল হয়েছে
শরীর| কথা আর ছবিতে জটিলতা বেড়েছে ক্রমশ...
হাত ধরে বাসনের কাছে আবাসন বড়ই ঝনঝনিয়ে
শব্দ করে, গা থেকে খুলে পড়ে; যাবতীয় দ্বায়িত্ব...
যে লোকটি কাল রাতেও ভেবেছিল, একটা বসন্ত পেলে
তোমাকে খুলে খুলে পরিয়ে দেবে ভালোবাসা, সে তো
এখন শুনছে; মৃতদের কনসার্ট!

নির্ভরযোগ্য সিট থেকে তুমি নিয়েছ নিউরন
গাণিতিক শিক্ষা তোমার শিরার ব্যালকনিতে
এখানে দাঁড়িয়ে নষ্ট করেছ; আলুচাষী থেকে
আইল্যান্ডের সর্বোচ্চ পুরুষকে...সকলেই জানে
সুযোগ একবার আসে আর তুমি কাজে লাগাও!

বন্দনা করে প্রকাশ্যে তোমাকে লিখে ফেলে ঘুম
ঘুমের আড়ালে বেঁচে থাকা; হর্ণ বাজিয়ে চলে যাওয়া
এসবই মধুর লাগে! অফিসের জরুরি ফাইল এক সময়
মিথ্যা হয়ে যায়, তোমার চোখের থেকে কুড়িয়ে নেয়
শেষ ঘুম! এবার বলো নারী; কে ক্ষতের সৃষ্টিকারী?

1 comment: