Friday 1 September 2017

সৌম্যদীপ রায়

ঈশ্বরের প্রতি


এমন এক শূন্যতার মধ্যে দিয়ে হাঁটছি যে নিজের পা ফেলার শক্তিক্ষয় থেকে আর প্রতিধ্বনি গজিয়ে উঠছে না আজকাল, তার মানে অবশ্যই এই নয় যে আমার আর ঈশ্বরের মধ্যেকার ফারাক আমি ঘুচিয়ে এনেছি। 
আমি হয়তো ঠিক উলটো দিকে এক নিরীশ্বরবাদীতার জঙ্গল দিয়ে হেঁটে গিয়ে একটা পোষা বাঘের খোঁজে নিজেকে নির্ঝঞ্ঝাট ঝর্নার মত আছড়ে ফেলতে পারলে বেশি খুশি হতাম, কিন্তু সব বিশেষণের খোঁজে আমি একা বের হতে পারবো না, সেই শক্তি আমার জীবন্তিকায় নেই। তাই মাঝে মাঝে...



আলো-

১ 

বিভাগীয় অনুচ্ছেদ আলোর প্রতিসরণের সংজ্ঞা রক্ষা করলেও প্রতিবিম্বর ভেতরকার রক্ষণশীল আলোকরশ্মি যেভাবে বাইরে আসতে চায় সেখানে কিছু আনুষঙ্গিক সম্পর্ক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে অপেক্ষা করে। আমার সঙ্গে তোমার চলাফেরার মধ্যে যতটুকু ডিগ্রীর বেখেয়ালি পথ তার মধ্যে অংক নেই, চাইলে বাইরের কেউ অংকন করতেও পারে, সেটা ঠিক হবে কি ঠিক হবে না এর উত্তর আমি উপসংহারে বলব ভেবেছি। তুমি কিছু মনে করলেও আমার সব অনুস্বর এর উপর একদিন চন্দ্রবিন্দু বসবে, বসবেই।



যখন প্রিজমকে ধাক্কা মারে আলোর শব্দরা তখন কিছুকিছু বিচ্ছুরিত মনোভাব সেই চৌহদ্দির ভেতরেই আটকে থেকে যায়। তারপর একটার পর একটা ধাক্কা, প্রতিফলন,  বেড়াজাল। ক্রমশ নিংড়ে নেয় সব বাকশক্তি, বাকশৈলীর যে নিজেদের ফ্রিকোয়েন্সি সব ধামাচাপা পড়ে অন্তঃবৃত্তিও কিছু ব্যাসার্ধের আঙ্গিকে। যে শব্দরা বেরিয়ে আসতে পেরেছিল তাঁরা বাইরে থেকে এই খেলা দেখে আর দেখে।






No comments:

Post a Comment