Friday 1 September 2017

প্রদীপ কুমার ঘোষ



আলসার


তাপমান যন্ত্রে একটু ছ্যাঁকা খেয়ে
তাবৎ পৃথিবী : ম্যাগমা সমুদ্রে
কাতলা মাছ। ওজোন ফুটোয়
রিডিকিউলাস হাসির বাষ্প
আমার কনুই অব্দি নাড়িয়ে
এইমাত্র আমার অবৈধ বউয়ের সাথে
নষ্টামি নষ্টামি খেলছে।
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু আমার
ফোনে আমি রেকর্ড করে
চারপাশের আবহাওয়ায় ছড়াই
তুলশী হাওয়া। পলিগন
নিয়ে চিন্তিত আমার ব্যাটা
কি এক যোগসুত্রে মেলাতে চাইছে
পাঠার সিং এবং মরদের শিশ্ন।
বসে বসে আজব লিপিতে
একটা ভুজঙ্গাসন আঁকছি।
টেস্টোস্টেরনে : দে ছক্কা দে ছক্কা।
বিছানায় ছাড়পোঁকা খাচ্ছে
একটু তৈলাক্ত চ্যাটচ্যাটানি।
আমি সায়েন্স বলতে বায়োলজি
আর ম্যাথ বলতে ফর্দ বুঝি।
ডিম পাড়ার কাজে যতটুকু শক্তি লাগে
আমার কোৎ তার থেকে বেশী নয়।
উড়ুক্কু উড়ুক্কু - দেড়হাতের বগল
আমার নিমিত্ত ঘাম ঝরায়।
উকুন বাছার সময় হামাগুড়ি দিয়ে
আমি লেবিয়াল লালা খুঁজি।
হাফ ম্যারাথন শৈশব শেষে
ফুল ম্যারাথনে কোষ কাটি।
কোষের সাঁতারে আবেগের জল।
মিশিয়ে দিই পলিগ্যামিক ব্যঞ্জনা।
উটের গলার উপরে প্রেমের মাদুলি
কতদিন কেটে গেছে দেখিনি
তাবিজের ফুসমন্ত্রের জোর
শাঁখের ফু-এর থেকে কতটা ব্যাপক।
ইপ্সিত সুখ আমার শ্যাওলা
এবং কর্কট রোগ হতে পারে শান্তি।
কি বিচিই না বিচালির মত চিবাই।
ম্যামথ : কখনও জীবন, কখনও
মথ। ডাস্টবিনের মাছি।
এলোকেশীর হাঁচি।
মস্ত বাবুয়ানি শেষে কিছু পিদ্দিম
ঝোলাবারান্দায় গড়গড়ার নলে
নিভে যাওয়ার বাতাশ টেনে
স্যাকরা হবে।
ডল দিয়ে : পারিবারিক দল
বাড়িয়ে জিতে নিচ্ছি
কান চলচ্চিত্র উৎসবে
সেরা অভিনেতার টার্মারিক পুরস্কার।
ল্যাংটার মতো দিতে থাকি : হনুঝাঁপ।





যুগ্মজগত



রাগ করে ভেবেছিলাম
আড়ষ্ট হয়ে যাবো।
মন মরতে চাইলেও
প্রেম মরতে চায় না।
সরিয়ে নিয়ে যাবো নিজেকে
ভেবেছিলাম একটা দূরত্বে,
যাকে ধরা যাবে না হাতে
অথচ হাতই আমার নয়।
ফুলবিকেলে যখন
ঘুরতে যাই একলা
সবুজের সমারোহ দেখে
ঘরের বালিয়াড়ি বড্ড কষ্ট দেয়।
হোঁচট তো আছেই
পায়ের পাশে, গোড়ালির নিচে
কাঁচের মত বিপদ
আর গিরিখাতের ঢালের মত চুল।
ফিরেই তো আসতে চাই
গুহায় নয়,অপরপ্রান্তে
যেসব কুঁড়েঘর সেখানে
তোমাকে নিয়ে একটু যাযাবর।
সময় কি আমার? হয়তো
পোয়াতি নয় চারচোখ।
মেঝেতে এসো একটু গড়াগড়ি
আঁচল পেতে জুড়ে দিই যুগ্মজগত।

No comments:

Post a Comment