Friday 1 September 2017

বিশ্বজিৎ বাউনা

গৃহস্থ ছারখার 
      

সাজানো নেই সুখ, কব্জির ভিতর উড়ছে খরা 
আলো ভেঙে চুপিচুপি উঠে আসে নিশাচর সন্ধ্যে​ ,
তুমিও দাও যা কিছু দোষ, কিছু তার মনগড়া ;
ছুরি থেকে পিছলে যায় ধার,সে কাটাকুটি দ্বন্দ্বে।

তবে কি সবই ছিল মরশুমি মুগ্ধতা, গরল ?
পলকা আয়ুর খাঁজে​ নেমে এসেছিল ধূর্ত পাখি !
সে তৃষ্ণার দাপটে বালি খুঁড়ে পেয়ে যাওয়া জল...
আজ এই ভরপেটে ভাঙা কুঁজোকে কোথায় রাখি?

আমিও কত কাছে গিয়ে খুঁজেছি ফুলের ফাল্গুন 
ঘরে-ফেরা ফড়িঙয়ের মতো আদরে উড়ে উড়ে...
পাওয়ার চেয়ে আমিও তো হারিয়েছি বহুগুণ,
বুঝি, আমিও যে ঋণী কালের নিয়মে পুড়ে পুড়ে ।

স্বপ্ন ভেঙে গিয়ে পড়ে থাকে হত সময়ের হাড় ,
গুমরায় নিজেরই পাঁজরে, সে গৃহস্থ ছারখার ।।



তুলনা 


চোখে পড়েনি ওৎ ক্ষত, কিছু পেয়েছিলাম আঁচ ।
ভেবেছিলাম, এই পথ পেরোবো হাতে হাত নিয়ে...
দেখি আজ, তালুয় ভরে উঠছে স্বপ্ন-ভাঙা কাঁচ ।
চাইলেও যেতে পারি না দূরে, সব কিছু এড়িয়ে ।

আমি তাই আলোর তলানিতে থাকা সেই তীব্র বিরহ,
কে আর বিশ্বাস করে, জলের গায়ে স্রোতের খরা ...।
আমি সে ভো-কাট্টা ঘুড়ি, স্থির শূন্যে ভাসি অহরহ ;
শেকড়-চ্যুত মাটি দিয়ে যেমন টব থাকে ভরা ।

কখনো নিজেকে লুকোতে প্রগাঢ় অন্ধকারে বসি ।
অথৈ তারার গায়ে এসে লাগে নিখাদ শূণ্যের স্বর ।
একা একা থেকে যাওয়া সমস্ত শোকের বয়সী
আমি। দেখো, আমারও নেই কোনো সদ্য শেখা ঘর ।

ক্ষত নিরাময়ে এসে ঢোকে প্রতিবেশী পাথর,ছাই...
তুলনা করা তো এক বিষ। এসো, তুলনাকে এড়াই।।

No comments:

Post a Comment