Wednesday 18 October 2017

প্রদীপ কুমার ঘোষ


অতৃপ্ত আত্মা

সারারাত ঘরের ভিতর ধূপ জ্বালিয়ে পুড়েছি।
একতলা থেকে দোতলা অব্দি বাতাস ঝুঁকে আছে
                                 অধঃক্ষিপ্ত আত্মার কার্বনে।
দরজা এবং জানালার পাল্লাগুলো
চোয়াল শক্ত করে এঁটে আছে।
একটা ঘূর্ণির মতো পাক খেতে খেতে
ছটফট করছে অব্যক্ত আর্তনাদ : যেন পিপাসা।
যেন কতদিন সে মেঘ পুড়িয়েছে বৃষ্টির আশায়।
যেন আজও সে বালি পেয়েছে নিজেকে ছুঁয়ে।
কোনোদিন ঘর বোনেনি লোকটি
কোনোদিন শোনেনি বাবুই পাখির গান।
খিদেই তো এই। এইরকম একটা পা-আটকানো ফাটল।
আড়ষ্ট অন্ধকারে যখন লোকটি বেঁচে থাকার শেষ পিনটি খোঁজে
তখনই হয়তো তার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা হয়ে যায়।
 স্বরূপ

অবতারবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে
বোঝা যায় কার কব্জিতে কত ক্যারিশমা
নক্ষত্রের আলোয় গামছা চুবিয়ে
অনায়াসে একটা জ্যোৎস্না নির্মাণ করে
ম্লান করা যায় চাঁদের ঐশ্বর্য
গোপনে দু-চারটে আত্মতৃপ্তির ঢেকুরও তুলে
আবার মিহিন ধুলোয় মিশে যাওয়া যায়
কারণ আমরা কারোর না
আমরা নক্ষত্রের না
আমরা চাঁদের না
আমরা শুধু একটা ক্ষমতার অলিন্দে
কপাটিকার মতো খুলে যাই আর বন্ধ হই।
 আদ্যাশক্তি

অ্যালফাবেটগুলো একে একে নিদ্রা গেলে
পকেটে খুচরোর পরিমাণটা গুনে রেখে
আমি আগামীকালের বাজেটে একটা সূক্ষ্ম গোঁতানি মারি।
সামনে আঙুরের মত টসটসে ফলের পসরা সাজিয়ে
একটুকরো ডাগর শরীরের একটা মেদবহুল আর্দ্রতা
আমার শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথেই ওঠাপড়া করছে।
অন্ধকারে সন্ন্যাসী সাজতে গিয়ে আমার কাপড় খুলে যায়।
মাখোমাখো হয়ে দুধ আর কলা একটা সুন্দর সকাল দেয়।
আর সেইরকম একটি আলোর জন্যই ভিখিরি হয়
আদিদেব ও একজন আদিদেবী।

No comments:

Post a Comment