Wednesday 18 October 2017

অভিষেক মুখোপাধ্যায়


জন্ম



ও মেঘ বিদ্যুৎ দাও, ও মেঘ অবৈধব্যে দাও ঠুং-ঠাং
ধ্বনিমেঘ শনিমেঘ যোনিমেঘ ধারণ করও একমুখী রুদ্রাক্ষমালা
কিভাবে বিচ্ছেদময়, অস্থিকুণ্ডে নেচে ওঠে সবুজ তারল্য আর ভাঙ
শরীরী পার্থিব নও, লকলকে তোমার জিহ্বা
গৃহটিকে বেঁধে দিল দাম্পত্যে- নিবিড় কলহে

এ ওর চুলের মুঠি, এ ওর সর্বাঙ্গ জুড়ে বিষ
এ ওকে থাপ্পড় মারছে, ও একে আদর করছে খুব
বর্ষা সম্ভবা হল- অন্তঃলোক, কাল এবং ভূ
জলগন্ধে ঢেকে যায়- এ ওর একান্নবর্তী স্নানে
মেঘ এসো জমে যাও, এই মুহূর্তে বেগমের জানে

চাঁদকে ধর্ষণ করও, চাঁদশক্তিপূর্ণ জঠরের
প্রথম বমন অর্থাৎ রতিখাদে দেহ উন্মাদনা
ও এর গাঁজার কল্কে ফেলে দেয়-নেশা চলবেনা
এ ওর পানের বাটা ভেঙে ফেলে- দুর হয়ে যাও
জ্যোৎস্না প্রসব হবে যতক্ষণ এখানে দাঁড়াও-

বর্ষাবান্ধবী তুমি শ্রাবণের দ্বিতীয় দিবসে
অন্ধ করও পাতা আর বন্ধ করও নিদ্রাহীন চোখ
শুক্লপক্ষে শুনো শুধু গাঙ্গুরের জলে ভেজা শোক
শরীরী পার্থিব নয়, শব্দগুলি দাম্পত্যভণিতা
কি প্রেম- কি প্রেম গুরু, চেঁচিয়ে ওঠে ভগবদ্গীতা

শরীরে আমিষ বাকি, শরীরে কবিতা বাকি থাকে
এর ওর চিৎকার বাড়ে, এর ওর আলাদা হয় ঘর
জ্যোৎস্না প্রসব হও গৃহটির মধ্যভাগে যাকে-
এ দেখে বর্ষা বলে ও দেখে বর্ষা বলেনা।

এর ওর চিৎকার বাড়ে, এর ওর সপ্তম চড়ে রা।

No comments:

Post a Comment